অলীক পাতার অন্যান্য সংখ্যা- পড়তে হলে ক্লিক করুন Library ট্যাব টি



। । "অলীক পাতা শারদ সংখ্যা ১৪৩১ আসছে এই মহালয়াতে। । লেখা পাঠানোর শেষ তারিখ ১৫ ই আগস্ট রাত ১২ টা ।.."বিশদে জানতে ক্লিক করুন " Notice Board ট্যাব টিতে"

Wednesday, March 14, 2018

কবিতা-জিতেন্দ্রনাথ গিরি





ফাগুন



Image Courtesy : Google Images


দিগন্তরাগ স্বপ্ন ছড়ায়
     
রোদ্দুর রঙ ঢালে ।
ধূসর মাটি পাগল সাজে
     
মাঠের আলে-আলে ।
নীল আকাশের নীলের দোলে,
কৃষ্ণচূড়ার ডালে-ডালে,
ফাগুন যেন যৌবন রাখে
     
নাচের তালে-তালে ।
আজ ফাগুনের হোক অভিষেক
     
তিলক দিয়ে ভালে ।
সুর সমীরণ ছন্দে গেঁথে
     
সাজায় নবীন গীতে ।
কচি-কাঁচার প্রাণখানিরে
     
চায় সে নিতেজিতে ।  

শাখায়-শাখায় সুমন লাজে
মৃগ-নয়ণী আজকে সাজে,
অলক্তরাগ অগ্নিবাণে
     
ভুলায় সকল কাজে ।
আয় রে সবাই, ফাগুন এলো
     
সাজাই নবীন সাজে ।
ফাগুন এলো সঙ্গে নিয়ে
     
কৃষ্ণচূড়ার ভোর ।
ডাক দিয়ে সে রঙি দিনের
     খুললো সবার দোর ।
বর্ণে-বর্ণে ফুল ফুটিয়ে,
আলোয় আবেশ খুব লুটিয়ে,
শাল-সেগুনের বন মাতিয়ে
     
করতে এলো বিভোর ।
মন কাড়ে সে এক পলকে
   
সাজিয়ে রঙি ভোর ।
ওরে ফাগুন, থাকিস কোথায়
     
কোন্ সে গোপন ঘরে ।
রঙগুলো সব কোথায় লুকোস্
     
কলসী ভরে-ভরে ।                          
শীতের শেষেই আসা যাওয়া,
ক্ষণিক তরেই শুধু পাওয়া,
সবুজ বনের ফুলের চাদর
     
সাজাস কোন্ আদরে ।
মাদলে তোর কোন সে জাদু,
     
মাতাল করিস ওরে ।
কোকিল যে তোর আসার খবর
     
মধুর কূহু-তানে ।
ছড়িয়ে বেড়ায় বকুল বনে
     
প্রাণের গানে-গানে ।
মঞ্জরি পায় নবীন শ্বাস,
আলোয়-মিটে মনের উদাস,
ঘাসের চাটাই নবীন সাজে
     
ধূসর মাটির প্রাণে ।
ঢেলে সাজা, রঙ সব তোর
     
সুমনে, সৌরভে ।
সাগর লিখে নামটি যে তোর
   
তরঙ্গে দেয় মেখে ।
দেশ বিদেশে সে সব  কথা
   
কত যে লোক লেখে ।
মিঠে শীতের মলয়-পরশ
বিলায় নেচে প্রাণের হরষ,
ফুলের বুকে বাঁধিস যে ঘর
     
যাস না কেন রেখে ।
মিটাস কেন সব কিছু তোর
     
গ্রীষ্ম দিয়ে ঢেকে ।











কবিতা-রবীন সাহানা





রজনী তোমার কোলে



Image Courtesy : Google Images



রচনাকাল-০৫/০১/২০১৮(প্রভাত কালে)
"আল্গোন্দী ছন্দ"(এই ছন্দের জন্ম আজই এই কবিতাটির হাত ধরে, বিশেষত্ব- কবিতাটি পাঁচটি স্তবকে সীমাবদ্ধ, প্রতি স্তবকে চারটি করে লাইন থাকবে, কবিতাটির প্রতি স্তবকের প্রথম ও তৃতীয় লাইন, বর্ণ ও যুক্তবর্ণ মিলিয়ে১৮ টি বর্ণে আর দ্বিতীয় ও চতুর্থ লাইন, বর্ণ ও যুক্তবর্ণ মিলিয়ে ১৬ টি বর্ণে গঠিত। আর প্ৰতি স্তবকে বর্ণনার বিষয় আলাদা আলাদা, কিন্তু সমস্ত কবিতার বিষয় এক )



আলতা রাঙা স্মৃতির পাতা উলটে বিষম সুখে,
নয়ন পরে' পলক ফেলি কোমল আবেশে।
পাঁজর খাঁচার খিলান তুলে মুক্ত হৃদয় পাখি,
মেলল ডানা আকাশ বুকে কল্পেতে একাকী ।

জোছনা চাঁদ বিকায় শরীর কোদাল কাটা মেঘে,
নিঝুম রাতে ঝিঁ ঝিঁ পোকার শক্ত পাহারাতে।
গগন হতে ঝরায় শিশির বিকুলি পৌষ মনি,
রজনী আজ স্নিগ্ধ সরস বসন্ত ফাল্গুনী

মনটা উড়ে গহন স্রোতে উজান স্মৃতির টানে,
শিকড় ছেঁড়ায় ভালোবাসা আকূলী পরানে
কানের কুহর ভরায়ে আছি নিষ্প্রান হেডফোনে ,
আমাদেরি প্রেমের কথা বলছে গানে গানে

গহন রাতে লেপের বুকে ঘুমায় পরাণ পাখি,
মোর হতে হাতেক দূরে নন্দিনী আলগিরী
মননয়ন দেখছে স্বপন তুমি ঘুমন্ত ঘরে ,
পরশ বিহীন ভালোবাসা সুখি অন্তরালে

আমার মনে অতীত পাতায় নুতন কাব্য লেখা ,
প্রানদে ,তালহীন স্রোতে ,আজ যে বড়ো একা
ভালোবাসা কেবলই আশা ঠুনকো ফুলেরদানি-
বাদলা আঁখি আশার সুখে দিচ্ছে হাতছানি













মুক্ত গদ্য-কৃষ্ণা সাহা





মুক্ত গদ্য



Image Courtesy : Google Search




বসন্তের এক পড়ন্ত বিকেলে ব‍্যালকনির এককোনে বসে রমা….ওই দূরে কিছুটা
ঝাপসা শিমুল গাছটার দিকে চোখ পড়তেই জীবনের ফেলে আসা প্রথম বসন্তের
অনুভূতির স্মৃতির পাতায় হারিয়ে গেল।স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে সদ‍্য কলেজের
গন্ডিতে পা রেখেছে রমা। একটু লাজুক একটু দুঃসাহসী ভাব চরিত্রে এসেছে।
কৌতুহলটা ও বেড়েছে ভীষণ ভাবে। পাশের বাড়ির রঞ্জন সেই ছোট্টবেলার খেলার
সাথী। কখনো আলাদা করে ভাবেনি ওঁকে। অথচ কদিন হলো একটু লজ্জা লজ্জা করতে
লাগছে ওকে দেখে।ওর সান্নিধ্য। কেন এমন হচ্ছে ? রমা ঠিক বুঝতে পারছেনা।
           
সেদিন ফাগুন মাসে চারদিক ফাগের নেশা। গাছে গাছে ফাগের রঙে
রাঙিয়ে শিমুল,পলাশ, মন্দার।রমার কাছে যেন অনেক বেশি লাল মনে হলো
কোকিলের কুহু তান অনেক বেশি মিষ্টি। বসন্ত বৌরীকে কাছে পেতে মন চাইলো।
তাহলে কি রমার জীবনে বসন্ত আগত ? জীবনের প্রথম বসন্ত ? তবে কি তার জীবনের
বসন্তের দূত…. রঞ্জন ?
             
একদিন ফাগুনের ঠিক এমন পড়ন্ত বিকেলে সূর্য যখন পশ্চিম
আকাশে সিঁদুরে লাল নববধূর কপালে টিপের মতন। চারদিকে একটু বেশি লাল আভার
বিচ্ছুরণ। ঠিক তখন নদীর ধারে রঞ্জনের সাথে দেখা।রমা যেন আজ রঞ্জনকে নুতন
ভাবে আবিষ্কার করলো।সে আজ আর সেই ছোট্টবেলার খেলার সাথী বালক রঞ্জন
নয়।তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে এক সুপুরুষ স্বপ্নের রাজকুমার দীঘল
চাহনিতে।রমার আজ হঠাৎ খুব লজ্জা লজ্জা করতে লাগলো।সারা শরীরে শিহরণ
বিদ্যুৎ গতিতে খেলে যাচ্ছে। বুকের ভিতর ধুকপুকানি ক্রমশঃ দ্রুত হচ্ছে।
কেন এমন হচ্ছে ? তবে কি এটাই বসন্ত ? একেই প্রেম বলে ?
         
রঞ্জন রমার হাত ধরলো রমাকে কাছে টেনে নিয়ে বললো," রমা !
আমি রঞ্জন। কেবল মাত্র তোর রঞ্জন।রমা কিছুই বলতে পারলোনা। মন্ত্র মুগ্ধের
মত যুবক রঞ্জনের বাহুডোরে যুবতী রমা বাঁধা পড়ে গেল যৌবনের প্রথম বসন্তের
শুভ ক্ষনে।রমা তার জীবনে বসন্তের দূতের মতো রঞ্জনের অনুপ্রবেশকে অস্বীকার
করে কি করে।সেতো জড়িয়ে আছে নিঃশ্বাসের প্রশ্বাসের মূহুর্তে।
           
সেই থেকে একে একে পঞ্চাশটা বসন্ত দুজনে পার করে ফেলেছে
অবলীলায়।কত পলাশ কত শিমুলেরা ঝরেছে ধরনীর মাটিতে। বসন্ত-বৌড়ি কোকিলেরা
বসন্তের আগমন বার্তা বয়ে এনেছে। তরুণ-তরুনীরা মেতেছে ফাগের খেলায়
উত্তাল হয়েছে তারুণ্য ফিরে ফিরে।
       
রঞ্জনের ডাকে রমা সম্বিত ফিরে পেয়ে মনে মনে হাসে। কোথায়
হারিয়ে গিয়েছে সে। বড়ই ভালো লাগছিল ফেলে আসা বসন্তের আঙিনায় বিচরণ
করতে। পঞ্চাশ বসন্ত পার করে এলেও এখনো রঞ্জনের সাথে বসন্ত উৎসবে
মাতোয়ারা হতে রমার ভালই লাগে।ফেলে আসা তারুণ্য হারিয়ে যায়।বার বার
তাই মনে হয়…….." আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে "





















কবিতা-আজাহারুল ইসলাম





বসন্ত প্রতি দরজায়




জানি তো পাখির মতোই দেখতে তাকে,
বসন্ত তারই মতো স্বেচ্ছাচারী,
পারলে ছুঁড়ে দিও পলাশফুলে,
আবীরের রঙের মতো হলুদশাড়ি,
ফুলেরা বসন্তকে দেখতে এসে,
মাখাবে প্রেমের মতো হাজার চুমু,
শীতেরও মুখ পুড়েছে অল্প ছ্যাঁকায়,
ছড়াবে আর কদিনে রঙিন মধু।
তার মুখ রঙিন চেনায়,সব ছাপিয়ে,
হয়না একটিও তার মিথ্যে সকাল,
আতরের দানি শুধু অপেক্ষাতে,
ছড়িয়ে দিতে আজ এ বসন্তকাল।
আমি তার চুলের ঘ্রাণও চিনতে পারি,
আমি তার ঠোঁটের কোণায় লিপস্টিক চোর,
হয়তো প্রতিস্রোতের রঙ দেখে আজ,
বসন্ত তারই চোখে আঁকছে সাগর,
তবু আজ শহরতলীর ড্রেনের ধারে,
বসন্ত ভিক্ষা করাই,দারুণ বেঠিক,
তাই আজ শহরতলীর গুন্ডাটাকে,

শাস্তি এখন দেওয়া দারুণ সঠিক।









কবিতা- ধনঞ্জয় দত্ত





এমন তো কথা ছিল না

Image Courtesy: Pinterest

               
এমন তো কথা ছিলো না।
চৈত্রের বসন্তের সন্ধ্যায় ঘরে একাকী বন্দী থাকবো।
জঘন্য শব্দ চয়নে ভাষার প্রাসাদ গড়ে
একাকী গড়বো আর ভাঙ্গবো
আমার সাধের কবিতা।
আর আদিম মানবিকতায় বস্ত্রহীন হয়ে
উপভোগ করবো কামনার স্বাদ।
কিম্বা বিবেককে ঘুম পাড়িয়ে
ছিনিয়ে নেবো অপরের মুখের গ্রাস।
অথবা ছুটে যাবো নিশীথ রাতে
চোরের মতো অপরাধী হয়ে
দেবতার কাছে।
চেয়ে নেবো জীবনের বিনিময়ে
মরনের সুখ।

এমন তো কথা ছিল না।










Main Menu Bar



অলীকপাতার শারদ সংখ্যা ১৪২৯ প্রকাশিত, পড়তে ক্লিক করুন "Current Issue" ট্যাব টিতে , সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা

Signature Video



অলীকপাতার সংখ্যা পড়ার জন্য ক্লিক করুন 'Current Issue' Tab এ, পুরাতন সংখ্যা পড়ার জন্য 'লাইব্রেরী' ট্যাব ক্লিক করুন। লেখা পাঠান aleekpata@gmail.com এই ঠিকানায়, অকারণেও প্রশ্ন করতে পারেন responsealeekpata@gmail.com এই ঠিকানায় অথবা আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।

অলীক পাতায় লেখা পাঠান