অলীক পাতার অন্যান্য সংখ্যা- পড়তে হলে ক্লিক করুন Library ট্যাব টি



। । "অলীক পাতা শারদ সংখ্যা ১৪৩১ আসছে এই মহালয়াতে। । লেখা পাঠানোর শেষ তারিখ ১৫ ই আগস্ট রাত ১২ টা ।.."বিশদে জানতে ক্লিক করুন " Notice Board ট্যাব টিতে"

Sunday, August 26, 2018

যুগলবন্দী ২ -কবিতা (উপ সংহার) - দেবশ্রী চক্রবর্তীঃস্বরূপ চক্রবর্তী

    যুগলবন্দী- সংখ্যা #২   

কলমেঃ দেবশ্রী চক্রবর্তী
ক্যামেরায়ঃ  স্বরূপ চক্রবর্তী

অঝোর

(সম্পাদকের কথাঃ এই কবিতাটির লেখিকা অলীকপাতার প্রকাশিকা শ্রীমতী দেবশ্রী চক্রবর্তী, যিনি নীরবে অগোচরে থেকে প্রত্যক্ষ  এবং অপ্রত্যক্ষ ভাবে প্রকাশক এর সাথে চালিয়ে যাচ্ছেন "যুগল বন্দী",  প্রকাশনার কাজে ব্যস্ত থাকায়  এবারের সংখ্যার জন্য  ওনার   আগের লেখা একটি কবিতা  আপনাদের জন্য প্রস্তুত করছি। আর সাথের ছবিটিও আগের তোলা, দেখুন আপনাদের ভালো লাগে কি না। )




শ্রাবনের ধারা ঝরছে ,
শুধু ঝরছে,
নিজেকে যখন একদম
একা, প্রান্তরে খুঁজে পাই
তুমুল ধারায় জমাট বাঁধা
ব্যাথা গুলো মনে পড়ছে।

শ্রাবনের ধারা ধুয়ে দিল  সারা প্রান্তর
সিক্ত আমি লুকিয়ে রেখেছি-
কিছু মেঘ
ঝরতে তাকে দেবনা
যদি ভুলে যাই
জীবনের দেওয়া বেদনা
তাতে যে রেখেছি সযত্নে কিছু মুক্তো

রক্ত মাখা হৃদয় খানি
আবৃত করে রেখেছি,
দুধ সাদা মুক্তো দিয়ে
কালো মেঘ গুলো ঢেকেছ,
তবু বিন্দু বিন্দু রক্তের ফোঁটা
ঝরছে আর ঝরছে ,
শ্রাবন আমার দুই চোখে
তুমি বইছ
সযত্নে এই রক্তের ফোঁটা
আলোর ধারায় ধুইছ।

                                                                                                                     অলঙ্করণঃ ফিরোজ আখতার, স্বরূপ চক্রবর্তী

EDITORIAL : 15TH ISSUE :JUNE: AUGUST 2018

EDITORIAL- SECOND YEAR THIRD  ISSUE

(THE FIFTEENTH NUMBER)



বন্ধুরা,
ফিরে এলাম অলীক পাতার বিশেষ বর্ষা সংখ্যা " অলীক পাতা -যুগল বন্দী" নিয়ে।
অলীক পাতার যাত্রা শুরু এবং ধারাবাহিক ভাবে বয়ে চলার মুল অনুপ্রেরনা কিন্তু আর আর এক যুগল বন্দীর উদাহরন, লেখক-পাঠক, সম্পাদক- প্রকাশক ,  আমাদের সকলের যুগলবন্দী ই হোল  অলীক পাতার পথ চলার পাথেয়।

বর্ষা ঋতু, সে যেন নিজেই এক সুরেলা যুগলবন্দী, হাসি-কান্না, আশা-নিরাশা, সৃষ্টি- ধ্বংস নিয়ে প্রতি বছর নিয়ম করে আমাদের দরজায় টোকা দেয়।

 এবারের সংখ্যাটি বর্ষার অনুপ্রেরনায় অনুপ্রাণিত , এই বিশেষ সংখ্যায় প্রথম বার আমরা একটি পরীক্ষা করার সাহস করার চেষ্টা করেছি, সেটা হোল আপনাদেরই নিজেদের ফটোগ্রাফি বা আঁকা ছবির ওপর ভিত্তি করে আপনাদের ই লেখা নিয়ে একটি সংখ্যা তৈরি করার, বিষয়ঃ বর্ষাকাল, আর, খুব,খুব আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে আপনাদের কাছ থেকে বিপুল সাড়া পেয়েছি, প্রায় দেড়শ ছবি পেয়েছিলাম, সেখান থেকে সাতাশ টি ছবি বাছাই করে আপনাদের জন্য এ্যালবাম প্রকাশ পায় অলীকপাতার গ্রুপে এবং ওয়েব পেজে,  সেই ছবির ওপর ভিত্তি করে লেখা আহ্বান করা হয়, আসে অনেক লেখা, ছবি পর্ব  আর লেখা পর্ব মিলিয়ে কিছুটা বেশী সময় চলে যায়, ফলতঃ জুন, জুলাই আর আগস্ট মিলিয়ে এই ভরা বর্ষায় তৈরি হয়  "অলীকপাতা যুগল বন্দী"সংখ্যা।

এবার বলি সংখ্যার দুটি বিশেষত্ব, প্রথম হল যে, এই প্রথমবার, পত্রিকার মলাট তৈরি তে ব্যবহার হ'ল অলীকপাতার পাঠিকার তোলা ছবি। মাননীয়া সম্পা দত্ত, আমাদের সম্পাদির তোলা একটি অপূর্ব ছবি আপনারা দেখবেন পত্রিকার মলাটে।আর, অন্যটি , অলীকপাতা পরিবারের আর এক বিশেষ সদস্য, আমাদের কবি বন্ধু ফিরোজ আখতার বাবুর করা যুগলবন্দী লোগোটি আপনারা পাবেন মলাটে এবং প্রতিটি পাতায়।  ফিরোজ বাবু এবং সম্পাদি কে জানাই আন্তরিক ভালোবাসা।

এবারে আসি সম্পাদক ও প্রকাশিকার কথায়, একই ছবির ওপর একাধিক লেখা, ভিন্ন ভাষায়, ভিন্ন আঙ্গিকে, কোথাও গল্প, তো কোথাও কবিতা, আবার রম্যরচনাও, এখন সমস্যা হচ্ছে যে, ছবি ভিত্তিক লেখা হবে, না কি, লেখা ভিত্তিক ছবি, কলম  আগে, নাকি ক্যামেরা, তা, অনেক ভেবে আমরা একটা রাস্তা বের করেছি, এবং সেই মত সূচীপত্র বানানো হয়েছে, আমাদের মুল লক্ষ্য ছিল যাতে এটা দেখানো যায় যে, একই ছবির কত ভিন্ন অর্থ হতে পারে, এবং সাথে পড়ার সময় ন্যাভিগেশন সহজে করা যায়, শেষমেশ ব্যাপার টি একটি জায়গায় দাঁড়িয়েছে, এবার আপনারা বলবেন কেমন হয়েছে।

দেশ জোড়া বন্যার মাঝে দাঁড়িয়ে থেকেও কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, এই বন্যার জন্য বর্ষা নয়, মানুষের লোভ দায়ী। তাই বর্ষা রানীর দেওয়া দুঃখের কথা মাথায় রেখেও তাকে খারাপ বলতে পারছিনা, 
কারন বৃষ্টি বিন্দু টিনের ছাদে বা গাছের পাতার ওপর পড়লে সেই যুগলবন্দী কিন্তু বেশ সুরেলাই লাগে।

আপনারা যে যেখানে আছেন ভালো থাকুন, মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন, খুশি থাকুন, সৃষ্টিতে মাতুন, এবার আসি, আশাকরি আবার শীঘ্রই দেখা হবে।
নমস্কার
স্বরূপ চক্রবর্তী
সম্পাদক-অলীকপাতা
হরিদ্বার,২৬শে  আগস্ট, ২০১৮


যুগলবন্দী ৪ -কবিতা -মুস্তাক আহমেদঃ মুস্তাক আহমেদ

    যুগলবন্দী- সংখ্যা #৪   

কলমেঃ মুস্তাক আহমেদ
ক্যামেরায়ঃ  মুস্তাক আহমেদ

চির প্রতীক্ষারত- বুড়ি পুকুরের পাড়ে







ক্লান্ত পথিকের ক্ষণিক বিরতির ন্যায়
স্বল্পকালীন, সুখদায়ী স্মৃতি তোকে নিয়ে 
তোর অবরুদ্ধ দ্বারের কড়া নাড়া দিয়ে
অনুত্তরিত  !!!
প্রেমপত্র গুলি অতিথি হল তোর দুয়ারের বাইরেই থেকে গেল, প্রবেশ নিষিদ্ধ।
আমার দিকেও চেয়েছিলি; 
উন্মীলিত দৃষ্টি যেন বাকরুদ্ধ, অভিভূত 
যদি পলক ফেলতিস
আমার ছবি গ্রথিত হত 
তোর হৃদয়ে !!!
অপলক দৃষ্টি পথ দিয়েই বয়ে গেল ।
তোর নিরন্তর তাকিয়ে থাকা ছেপে গেল,
মাথা নত করলাম চোখ বন্ধ করে - 
তোর চেহারার ঐচ্ছিক আনমনা মনে সহস্রাধিক অনৈচ্ছিক তুফান উদ্রেক করে ।
আয়ু-বৃক্ষের শেষ পাতা ঝরে পড়ছে,
এ শীতলতা ছেড়ে প্রাণ পাখি পাড়ি দিয়েছি,
কোন উষ্ণ আশ্রয়ের খোঁজে।
এমনিই এক মায়াবী সাঁঝে
বুড়ি পুকুরের পাড়ে তোর অকস্মাৎ আগমন,
তোর গা ছুঁয়ে যাওয়া বাতাস জাগালো শিহরণ,
কবর মধ্যস্থ এক অসাড় দেহে। 
কাছে এসে চিনতে পেরে মাথায় হাত দিলি সস্নেহে;
তোর স্বর্গীয় আঁচে আজ আর প্রাণের সঞ্চার হল না,
পাগল তাই অন্তিম সংস্কার টাও জুটলো না !!!
মন দিয়েছিলাম - সম্পূর্ণ সমর্পণ তোর প্রতি,
প্রান দিলাম - বাঁচল প্রেম শেষ অবধি,
মৃত্যুর পরও খোলা চোখ - তোর অপেক্ষার চরমতম পরিণতি |||







                                                                                     অলঙ্করণ ঃ ফিরোজ আখতার, স্বরূপ চক্রবর্তী





Jugal Bandi 6 -Poetry-Mustaque Ahmedঃ Pratik K Mukherjee


    JUGAL BANDI No. #6 

Written By: Mustaque Ahmed
Photography By: Pratik K Mukherjee

Shore of Amour 




I am floating in the river of love and fancy
Finding myself optimistic in finding a shore.
It will provide me haven of beauty,
For which lies a yearning in my core.
To build a little hut I will arrange things,
When you will be appearing, I will sing.


Oh my beloved darling! You mean to me,
The rare coral gems of the Mediterranean.
You are the celestial gift bestowed by  Thee,
Which have the smell of perfumes like Arabian.
Enjoy the sunny day and feel the breeze,
With some love song let me make you please.


Are you oscillating between the fear of survival -
Of name and desire to perpetuate it on shore ?
Let me make it eternal and perceptible,
By inscribing on my heart the name of you.
No waves will be able to create any effect,
Everyone will behold it who will penetrate.


The sky is bright and romantic is the view,
The wind is fragrant with the smell of hairs.
The scene is saturated with your face's hue.
The quietude of this sight stares 
At the moment when you put on your face,
That smile which express your coyness








                                                                        Illustration: Firoz Akhtar and Swarup Chakraborty





















যুগলবন্দী ৭ -কবিতা -মুস্তাক আহমেদঃ মুস্তাক আহমেদ

    যুগলবন্দী- সংখ্যা #৭ 

কলমেঃ মুস্তাক আহমেদ
ক্যামেরায়ঃ  মুস্তাক আহমেদ

হৃদমাঝারে মায়া-মেঘ 







তোর হৃদয়হীন প্রখরতায় বাষ্পীভূত হয়ে,
তোর অবজ্ঞা ধূলিকণার সাথে ঘনীভূত হয়ে,
তোর অপবারিত বাতাস কর্তৃক সম্পৃক্ত হয়েও
এ চক্ষুকূল প্লাবিত হয় না ;
হুম ! চোখ ভরে আসে, 
হয়ত আবেগের আরেকটু শব্দহীন আত্মপ্রকাশে 
চক্ষুদ্বয় হারাবে জলধারণ ক্ষমতা।
কিন্তু তোর বেবাক অবহেলাতেও 
আমি পুরস্কৃত :
পেলাম -  নিয়ন্ত্রণ, সংযম।
একি  বজ্রনিনাদ না সর্বহারার আর্তনাদ ? 
এই দুই কি আদৌ কর্ণগোচর হয় তোর ?
আতঙ্কিত হওয়ার ভয়ে প্রথমটাতে কানে হাত দিস,
দ্বিতীয়টাতে, সমব্যাথীত না হওয়ার জন্য কান পাতিস -
রাত কোকিলের পিহু পিহু রবে।
তীক্ষ্ণ বৈভবের পিহু রবে
আমার অভাব অনুভব হয় ?
চেহারায় তোর অনুবেদনা প্রতীত হয় কেন ?
আমার সুর-লহরীর উচ্চতান 
আর কোকিল কন্ঠের তীক্ষ্ণতা ;
এই দুয়ের মধ্যে সাদৃশ্য খুঁজে পাচ্ছিস ?
নাকি যেভাবে তোর, নগ্ন বুকের উপর
মধ্যমা দিয়ে আমার নাম লিখতাম,
সেই ভাবেই পিহু রবের তীক্ষ্ণতা 
তোর মনিকোঠায় আবার 
সেই নাম খোদাই করছে ?
প্রেম-প্রস্তাবের সেই রৌদ্রোজ্জ্বল, নাতিশীতোষ্ণ, মৃদুমন্দ বায়ুপূর্ণ শরৎ সকাল, তোর স্মৃতিচারণায় মেঘাচ্ছন্ন, ঝঞ্ঝাপূর্ণ, স্যাঁতসেতে হয়ে উঠছে কেন ?
লাগুক দাবানল, পুড়ে যদি ছারখার হয় 
তোর অবহেলায় এ কল্পনা সংসার 
সাধবো আমি তবে মিঁয়া-মলহার,
জমায়েত হবে মেঘ -
আকাশে, তোর মানসপটে।
অঝোর বর্ষণে শস্য-শ্যামলা করবে 
তোর হৃদয়হীন মরুভূমি,
ফোটাবে অনুবেদনার ফুল 
হয়ে উঠবে - 
সাধকের তীর্থভূমি !



                                                                               অলঙ্করণ ঃ ফিরোজ আখতার, স্বরূপ চক্রবর্তী






























যুগলবন্দী ৮-গল্প -সিলভিয়া ঘোষঃসোহম সান্যাল

    যুগলবন্দী- সংখ্যা #৮ 

কলমেঃ সিলভিয়া ঘোষ
ছবিঃ সোহম সান্যাল

লেডিস স্পেশাল






পাঁচটা চল্লিশের  লেডিস স্পেশাল টা  না  পেলে বড় দেরী হয়ে যাবে অন্তরার  ক্যানিং  পৌঁছাতে পৌঁছাতে। একটা  নতুন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে যোগাযোগ হয়েছে গড়িয়াতে।  খবরের কাগজ দেখে,  তাই সব কাগজ পত্র জমা দিতে গিয়ে হোস্টেলে   ফিরতে  দেরী হয়ে গেলেই গেট বন্ধ হয়ে যাবে রাত সাতটার মধ্যে। এসময়ের লেডিস স্পেশালটা তে অনেকদিন পর-তা প্রায় এক যুগ হবে , পা দিল অন্তরা কিন্তু  একটা সময় লেডিস স্পেশাল  ছিল না,  ছিল  জেনারেল ট্রেন যার মাত্র  চারটে কামরা ছিল  শুধু  মহিলাদের জন্য। কিন্তু  সে  সময়  একসঙ্গে দলবেঁধে  কলেজ থেকে ফেরার আলাদাই আনন্দ ছিল।  ট্রেনে হকার দের থেকে  কম দামে  টিপের পাতা,  কানের দুল, ক্লীপ  কেনা কাটা তো ছিল অন্যতম অানন্দ।  তারপর এই বারো বছরে  নদী দিয়ে জল বহুদূর বয়ে গেছে। জীবন তাকে কত শত পরীক্ষা  নিয়েছে তা সেই জানে!  এসব সাত পাঁচ  ভাবতে ভাবতেই  ট্রেনটা চলে আসলো  যাদবপুর স্টেশনে। কোন রকমে টেনে হিঁচড়ে নিজেকে ট্রেনের   ভিতরে  নিয়ে গেল সে। দুটো স্টেশন পর নেলপলিশের একজন মহিলা  হকার। পাশ থেকে তাকে  দেখে কেমন যেন চেনা চেনা লাগলো অন্তরার। হঠাৎ ঘাড় ঘুরিয়ে নেলপলিশ   বিক্রির    উদ্দেশ্যে   অন্তরার    দিকে  ফিরতেই  মহিলাটির মুখ কেমন যেন    বিবর্ণ  ফ্যাকাসে  হয়ে গেল। সাথে সাথেই সে অন্য  কামরায় চলে গেল। 


সেদিন হোস্টেলে ফেরা অবধি অন্তরা তার সমস্ত পুরোন স্মৃতি হাতড়ে বেড়াতে লাগলো। কিছুতেই মনের ভিতর একটা খচ্ খচ্ ভাবটা কাটাতে পারলো না। অন্তরার অন্যমনস্কতা   নজরে  পড়লো বিহুর।   বিহু বার বার জিজ্ঞাসা  করতে লাগলো  কি এমন ঘটনা  ঘটেছে  যে অন্তরা  রাতে ঘুমাতে   পারছেনা !  অন্তরা সেদিন কোন  উত্তর দিতে  চায় নি। শুধু স্মৃতি হাতড়ে চলেছিল সে।

দিন সাতেক  বাদে  ঐ  স্কুল  থেকে তাকে  ডেকে পাঠায় তার সিভি দেখে।  অন্তরার  সকাল থেকে  নিঃশ্বাস  ফেলার সময়  ছিল না।বিকেলের   দিকটায়  কিছু সময় বেরা করা যায়। আজও সে  ছুটতে ছুটতে    লেডিজ  স্পেশালটা  ধরতে পেল। সেই  তিনটে  স্টেশনের  পর  শুরু হলো  হকারদের আনাগোনা। এলেন  সেদিনকার সেই  নেলপলিশ  বিক্রয়কারী বিবাহিতা  হকার মহিলা। আজ   প্রথমেই তার সাথে  চোখাচোখি হয়ে গেল অন্তরার। সেই মুহূর্তে  অন্তরাই  এক গাল হাসি নিয়ে ডেকে বলল কেমন আছিস  ওলি?  ওলি?  ওলি? 

ততক্ষণে   ম্যাডাম ওলি রওনা দিয়েছেন অনেক দূরে ,অন্য কামরায়। 


অলি কে মনে  পড়ে গেল  অন্তরার !  ক্লাস নাইনে  ভালোবেসে বাড়ি থেকে  পালিয়েছিল ওলি। তারপর আর দেখা হয়নি ।এই  ওলির সাথে  আগের  ওলির    কোন    মিল নেই। আজ যাকে দেখেছে  তার ভিতরে রয়েছে   সৎ  পথে বেঁচে থাকার লড়াই এ  দৃঢ়প্রতিজ্ঞ,  আত্মবিশ্বাসী এক নারী কে , যে   তাকে  বেঁচে থাকার রসদ যোগাবে !   নদীদের যে থামতে  নেই কোন ভাবেই।  বহমানতাই জীবনের ধর্ম।
                                                                            

                                        
                                                                                                                    অলঙ্করনঃ ফিরোজ আখতার , স্বরূপ চক্রবর্তী









































Main Menu Bar



অলীকপাতার শারদ সংখ্যা ১৪২৯ প্রকাশিত, পড়তে ক্লিক করুন "Current Issue" ট্যাব টিতে , সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা

Signature Video



অলীকপাতার সংখ্যা পড়ার জন্য ক্লিক করুন 'Current Issue' Tab এ, পুরাতন সংখ্যা পড়ার জন্য 'লাইব্রেরী' ট্যাব ক্লিক করুন। লেখা পাঠান aleekpata@gmail.com এই ঠিকানায়, অকারণেও প্রশ্ন করতে পারেন responsealeekpata@gmail.com এই ঠিকানায় অথবা আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।

অলীক পাতায় লেখা পাঠান