অলীক পাতার অন্যান্য সংখ্যা- পড়তে হলে ক্লিক করুন Library ট্যাব টি



। । "অলীক পাতা শারদ সংখ্যা ১৪৩১ আসছে এই মহালয়াতে। । লেখা পাঠানোর শেষ তারিখ ১৫ ই আগস্ট রাত ১২ টা ।.."বিশদে জানতে ক্লিক করুন " Notice Board ট্যাব টিতে"

Friday, August 30, 2019

কবিতা-গাছটা- মৌসুমী চৌধুরী


গাছটা

মৌসুমী চৌধুরী





বার বার ঝকড়া গাছটা
আমায় দেয় ক্লোরোফিল আশ্রয়।
বুলিয়ে দেয় নক্সীকাঁথা আদর,
দেয় নির্ভরতার শীতল ছায়া।
কখনও বা পাঁজর জুড়ে ঝড়, সুনামী।
মনের দেওয়াল জুড়ে এঁকে দেয় ক্ষতও।

পটভূমিতে সেজে ওঠে গল্পেরা,
শীতের হেলানো রোদ্দুরের মতো
দীর্ঘায়িত হয় চুপ-কথারা।
সত্তার ভেতরে দুলে ওঠে এক মিহি অসুখ...

শিরশিরে বাতাস আর শীতের জড়তায়
গাছটার হলুদ হয়ে আসা পাতা,
সহসা ঝাপটায় তার নুয়ে পড়া ডাল
বড় বিপন্ন করে আমায়।
বুকচাপা কান্না ধিকি ধিকি জ্বলতে থাকে...

গাছটা হঠাৎ বাবা হয়ে ওঠে...


 Back To Index















কবিতা-গ্রীষ্ম-পল্লব সরকার

গ্রীষ্ম 

পল্লব সরকার 







গ্রীষ্ম মানে নতুন দিন 
নতুন পাতা স্বপ্ন রঙিন ।
গ্রীষ্ম মানে "রবী"-র আলো
ঘুচায় তামস অন্ধ কালো।

গ্রীষ্ম মানে ঝড়ো হাওয়া 
মেঘের ডাকে চমকে যাওয়া ।
গগনভেদী অট্টহাসি
 নিমেষে ভাসে শুকনো বাসি।

গ্রীষ্ম মানে আমের গন্ধ 
লিচুর ফুলে মৌয়ের ছন্দ ।
এচোঁর, উচ্ছে,পাটের পাতা 
সজনে ডাঁটা, হালখাতা ।

গ্রীষ্ম মানে চেতনার গান 
রবী-নজরুল -সত্য প্রাণ
গ্রীষ্ম মানে বালির চড়ে
রসের ভান্ড তরমুজ ভরে ।

গ্রীষ্ম মানে গরম হাওয়া 
ঝরে পড়া বেল কুঁড়িয়ে পাওয়া
গ্রীষ্ম মানে পাহাড় কোলে 
পুষ্ট নদী বরফ গলে।

সুনীল আকাশ পাখির গান 
সবুজ শস্য খুশির স্নান ।
কৃষ্ণচূড়ার রঙিন ফুলে 
"অলীক পাতা "-র স্বপ্ন দোলে।

গ্রীষ্ম মানে লড়াই করে 
বাঁচতে শেখা নতুন ভোরে।





 Back To Index












কবিতা-শিখিয়ে দিও-সুরজিৎ বাগ


শিখিয়ে দিও

সুরজিৎ বাগ





কলেজ ফেরত সেই ছেলেটা 
ভীষণ জেদি,একরোখা ভাব,
বান্ধবীদের চিনতো না সে
একঘেয়ে সব কবিতা লেখা তার স্বভাব, 

রঙ লাগেনি বসন্তে তার
নিকোটিনেই দিন কেটে যায় ,
অ্যাস্ট্রে জমা ঠোঁট দুটো তার 
ঠোঁট ছোঁয়ানো ভীষণ দায়,

রদ্দুরে দিন ভাল্লাগে না 
বৃষ্টি দিনেই খুব মানায় ,
ঝাঁকড়া চুলে ঠিক ঝোড়ো কাক
চোখের কোণে কান্না জমায় 

তাই তো বলি মেয়ে তুমি
একটু সময় তাকে দিও,
প্রেমে পড়ার সহজ উপায়
তুমিই তাকে শিখিয়ে দিও ,

 Back To Index
















কবিতা-বিষ-আজাহারুল ইসলাম

বিষ

আজাহারুল ইসলাম



দেখি কত বিষ জমা আছে,
তোর ওই মগজের কোষে,
কতখানি পাড় হয় মাথা,
ধর্মীয় ভেজালের দোষে,

কতকিছু বাকি আছে পড়া,
পেন ওঠে লিঙ্গের মতো,
খসে পড়ে এক একটা ব্যথা,
যতবার কালি হয় নত,

পবিত্র কুরআনের কাছে,
বাইবেল প্রশ্ন করে,
মুহাম্মদ যীশুকে নিয়ে,
গলা ধরে শুয়ে আছে ঘরে,

আমরাও গলা ধরি ঈদে,
বড়দিন কিংবা পুজোতে,
জানি তবু কেটে দিবি মাথা,
জিহাদীরা বাঁচে। মুন্ডুতে।

 Back To Index



















অনুগল্প-মা-সান্ত্বনা দাস

মা 

সান্ত্বনা দাস



এই তো সেদিন তুমি ভাতের থালাটা থেকে ভাত মেখে বললে ‌-খেয়ে নে।অনিচ্ছায় তুমি বড় বিরক্ত কর ভাবতে ভাবতে জুতোটা পায়ে গলিয়ে দে দৌড়। জুতোটা পালিশ করে ঠিক জায়গায় রইল কি করে একবারও মনে এল না। টিফিনে বন্ধুর সাথে লুচি তরকারী ভাগ করে খেতে খেতে মায়ের কথা একবারও মনে পড়ত না, পড়ার কথাও নয়। বাড়ী এলে মা জিজ্ঞাসা করত ঠিক 'হ্যাঁ  রে সব পড়া পেরেছিস, টিফিন খেয়েছিস? 'সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মায়ের কেমন করে কাটত খেয়ালও থাকত না, মা ঠিক খেয়াল করত আমার কেমন করে কাটছে। 

           কখন যেন টিফিন নেওয়া বন্ধ হয়েছে। টাকা দিয়ে টিফিন কিনে খাচ্ছি। হাফপ্যান্ট স্কুলের পোষাক বদলে গেছে ফুলপ্যান্ট টাই এ। স্কুল বদলে গেছে কলেজে। মা কিন্তু একই রকম শাড়ী পরে, পোষাক বদলায় নি। সহপাঠিনী যখন বান্ধবী হলো ততদিনে আমি মায়ের নিশ্চিন্ত কোল ছেড়ে পৃথক ঘরে স্থান নিয়েছি। বাবা পড়াশুনা অন্যান্য বিষয়ে জিজ্ঞাসা করত ,মা খেতে দেওয়া ছাড়া বিশেষ গুরুত্বে পড়ত না। তবু অসুখ করলে মা পাশ থেকে উঠত না, হয়ত ঠিক মতো খেতো  না। তারপর চাকরি নিয়ে বিদেশ।ততদিনে এক সহপাঠিনী সহধর্মিণী হয়েছে। আমার মা শিক্ষিত, সংযত। যোগাযোগ রাখত, আমি সময় পেতাম না। আমার ডলপুতুলের মতো কন্যার ছবি মাকে ভিডিও করে পাঠিয়ছিলাম ,মা নাম দিয়েছিল 'তিয়াসা '।

              এখন মা আমার সামনে খুব কাছে শুয়ে আছে। চোখ বন্ধ গলায় মালা। মাকে এত সুন্দর আগে কখনো দেখি নি। মা আমার দিকে তাকাচ্ছে না কথাও বলছে না। 

মা জিজ্ঞেস করল না 'খোকা এলি? '  আমি জিজ্ঞাসা করলাম 'মা যাচ্ছ? 'তারপর অসহায় ভাবে মায়ের আলতা পরা পায়ে মাথা ঠেকিয়ে বললাম 'আমি সব থেকেও একলা হয়ে গেলাম মা। '


 Back To Index















কবিতা-গোলাপ- দীপশিখা চক্রবর্তী

গোলাপ

দীপশিখা চক্রবর্তী 









প্রতিটি সকালের সবুজ রোদে এঁকে দিতাম একটা করে গোলাপের বায়না,

তুমি হেসে বলতে-
অজান্তেই কোনো একদিন ঠিক সাজিয়ে তুলবে আমার ভালোবাসার অহংকার, 

শুধু একটু অপেক্ষা!

জানি আজ তুমি আসবেই;

হাতে শুধু একগুচ্ছ রজনীগন্ধার শোক,

ভালো লাগেনি!

তুমি তোমার কথাটুকু যে কোনোদিনই রাখতে পারোনি।




 Back To Index













কবিতা-ট্যুইট- ফিরোজ আখতার


ট্যুইট

ফিরোজ আখতার





চোখে আড়ালে বিভৎস কঙ্কালগুলো 
হইহই করছে, হাসছে খিলখিলিয়ে
জগজম্প স্বতস্ফূর্ততায় ট্যুইট করছে

আর, শ্রমিক মৌমাছি'র মাপকাঠিতে বিচার্য
আজ্ঞাবহ পুরুষরা সেই কঙ্কালগুলো'র তালে তাল মেলাচ্ছে 

দৃশ্যমান মতিচ্ছন্নতা যে মায়াজাল দাবী করে
সেটা বোধহয় ষড়ভূজাকার আতিশয্য পেরিয়ে
আরও বেশি প্রকট হচ্ছে 


 Back To Index















Main Menu Bar



অলীকপাতার শারদ সংখ্যা ১৪২৯ প্রকাশিত, পড়তে ক্লিক করুন "Current Issue" ট্যাব টিতে , সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা

Signature Video



অলীকপাতার সংখ্যা পড়ার জন্য ক্লিক করুন 'Current Issue' Tab এ, পুরাতন সংখ্যা পড়ার জন্য 'লাইব্রেরী' ট্যাব ক্লিক করুন। লেখা পাঠান aleekpata@gmail.com এই ঠিকানায়, অকারণেও প্রশ্ন করতে পারেন responsealeekpata@gmail.com এই ঠিকানায় অথবা আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।

অলীক পাতায় লেখা পাঠান